বশীকরণ

মেয়েকে বশীভুত করার মন্ত্র

মন্ত্রঃ রাম লক্ষন সিতা, আয় আয় জোড়, লাগ চরনে বান্ধিয়া গাও, ধর আল্লাহর হাত পাও, মোর চরনে আল্লাহ মিলিয়া দাও। নিয়মঃ শনিবার অথবা মঙ্গলবা...

বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১১

সাঁপ হলো মৌমাছি

অনেক দিন আগের কথা ! প্রতিদিনের ন্যায় বিকেল বেলা তমাল বাড়ীর উঠোনে বের হয়েছে । উঠোনের পাশেই কবরস্থান । যেমন তেমন কবরস্থান নয় এটি । অনেক পুরাতন । বেশিরভাগ কবরের পরিচয় জানেনা কেউ ।যে জাম গাছটার নিচেপ্রতিদিন বসত আজো সেই জায়গায় দাড়িয়ে আছে তমাল । প্রকৃতির সবুজঘেরাঅসম্ভব সুন্দর সৌন্দর্য উপভোগ করছে আর ভাবছে . . . . . . কি বিচিত্র আল্লাহর সৃষ্টি ! কত সুন্দর করে নিপুন হাতে গড়েছেন এই পৃথিবী । কোথাও কোন বিন্দু মাত্র ভুল নেই । সৃষ্টির কারুকার্য দেখে সেচ্ছায় সৃষ্টিকর্তার কাছেমাথা নত হয় তমালের । একমনে শুধু ভাবছেআর ভাবছে । কবরস্থানের দিকে তাকিয়ে মৃত্যুর কথা মনে পড়ে যায় । কি সম্বল আছে ওপারেযাওয়ার ? আমার তো তেমন কোন পুণ্যই নেই । কিভাবে থাকবোঐ অন্ধকার কবরে । যেখানে একদিন সবাইকেই যেতে হবে ।কি করেছি আমি এই ছোট্ট জীবনে ? যেদিকে তাকাই সেদিকেই শুধু পাপাচার আর অনাচার । কেউ কি ভয় করেনা নাকি যে তাদের একদিন মরতে হবে । যেতে হবে সেই অন্ধকার কবরে । নাহ্ আর ভাবতে পারছিনা । আল্লাহর ভয়ে কেমন জানি অন্যরকম লাগছে । কেন জানি হঠাত্‍ বুকটা মোচড় দিয়ে উঠলো । ঠিক সেই সময় কোথা থেকে যেন সুললিত কন্ঠে কোরআন তেলাওয়াতের আওয়াজ শুনতে পায় তমাল । কান পেতে থাকে কোন দিক থেকে আওয়াজটা আসে । এমন সুমধুর সুরে কোরআন তেলাওয়াত ইতি পূর্বে কখনও শোনেনি । কে তাহলে এত সুন্দর করে তেলাওয়াত করছে ? এমন সময় চোখ পড়লো তার থেকে ৩-৪ হাত দূরেই একটি গোখরা সাপ ফনা তুলে তার দিকে চেয়ে আছে । আর ঐ তেলাওয়াতের সুরটাও সাপটার কাছ থেকে আসছে । সাপটি মাথা দুলাচ্ছে আর অসম্ভব সুন্দর করে তেলাওয়াত করছে । তমাল ভেবে পায়না এখন তার কি করা উচিত ? ভয়ে থরথর করেকাঁপছে । দৌড় দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চিন্তা করে তমাল । কিন্তু তা আর হয়না যেন । পাঁ টা যেন উঠছেনা ।কোন এক অদৃশ্য শক্তি যেন আটকে রেখেছে তাকে ।সাঁপটি অনবরত তেলাওয়াত করেই যাচ্ছে । (পর্বঃ ২) কতক্ষন এভাবে কাটলো বুঝতে পারেনা তমাল । ভয় অনেকটাই কেটে গেছে । ভয় পাওয়ার কি আছে? সাঁপটা তো আর তার কোন ক্ষতি করছেনা ।মনে মনে নিজেই নিজেকে সাহস দেয় তমাল । দেখিনা শেষ পর্যন্ত কি হয় । মনে হয় জ্বীন ভুত জাতীয় কিছু একটা হবে এটা । শরীর থেকে টপটপ করে পানিপড়ছে যেন গোসল সেরেআসলো এখনি । কি আর করা , হাঁ করে সাঁপটার দিকে তাকিয়ে শুধু তেলাওয়াত শুনছে তমাল । তমালের মনে হলো সাঁপটা কোন একটা বড় সূরা ধরেছেনা শুনিয়ে ছাড়বেনা । না শুনতে চেয়ে তো আর লাভ নেই । আর তাছাড়া শুনতে তো ভালোই লাগছে । ছদাকল্লাহূল আযীম. .. . . . . যেন জ্ঞান ফিরে পায়তমাল । এখন বোধহয় ছাড় পাবো । নাহ্ পাঁ তো উঠছেনা । আরো কি . . . . . . ? মুখ ফসকে কথাটা বের হয় তমালের । চেয়ে দেখেসাঁপটার দিকে । হঠাত্‍ . . . সাঁপটা তার চেহারা বদলালো । পরিনত হলোএকটি মৌমাছি তে । সাইজটাও অন্য সব মৌমাছি থেকে অনেকক্ষানি বড় । এতো দেখছি আমার দিকেই উড়ে আসছে । পালাই যদি কামড় মারে । তমালের পাঁ দুটো এবার কিন্তু ফ্রি হলো । এক দৌড়ে আঙিনায় এসে উপস্থিত । আর ঐ মৌমাছিটাও পিছন পিছন উড়ে আসে । এসে বসে আঙিনায় থাকা ঠিক লাউয়ের মাঁচার উপর । আর অদ্ভুদ সব ঘটনা ঘটে যেতে লাগলো তখন । নিমিষেই লাউ গাছে ফুল আসলো । পরাগায়নঘটলো, লাউয়ের জালিগুলো অতি দ্রূত বড়ও হওয়া শুরু করলো । একি ! অবাক কান্ড । ব্যপারটাতো মাকে জানানো লাগে, বলেই মা মা মা বলে ডাকতে থাকে তমাল । মা আসতে এত দেরি করছে কেন ? জোরে জোরে ডাকতে লাগলো মা ও মা ও মা . . . . . . . . মাথায় কারও যেন পরশঅনুভব করে তমাল । চেয়ে দেখে তার মা । কিরে ঘুমের মধ্যে আমাকে ডাকছিস কেন ? কোন স্বপ্ন দেখেছিস ?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন