বশীকরণ

মেয়েকে বশীভুত করার মন্ত্র

মন্ত্রঃ রাম লক্ষন সিতা, আয় আয় জোড়, লাগ চরনে বান্ধিয়া গাও, ধর আল্লাহর হাত পাও, মোর চরনে আল্লাহ মিলিয়া দাও। নিয়মঃ শনিবার অথবা মঙ্গলবা...

বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১১

বিলাই মারা

বিড়ালের উত্‍পাতে জীবন অতিষ্ট । আর সহ্য করা যায়না। এর একটা বিহিত করতেই হবে আজ । এভাবে আর কত সহ্য করা যায় । কথাগুলো বিড়বিড় করে বলছিল সুজন । গতকাল খুব শখ করে রাতে ২ কেজি ইলিশ মাছ কিনে এনেছিল সে। অভাবের সংসার , তার উপর বাবা অসুস্থ ।ডাক্তার বলেছে ঔষধ এর পাশাপাশি একটু ভালমন্দ ও খেতেহবে রুগীকে। ধান বিক্রী করেআনা শখের মাছ যদি বিড়ালে খায়কার না মেজাজ খারাপ হয়ে যায় । আজ বিড়ালের রক্ষা নেই । লাঠি নিয়ে বসে আছে সুজন, বিড়াল মারবে । কিন্তু কোথায় গেল বিড়ালের বাচ্চারা ? সারাদিন বিড়াল মারার অপেক্ষাটা বৃথা হয়ে গেল । নাহ্ আর পারা গেলনা, বিড়ালেরবাচ্চারা মনে হয় জেনে গেছে ব্যাপারটা । প্রযুক্তির যুগতো জানতেও পারে । হয়তঃ ডিজিটাল যুগের ছোঁয়া লেগেছে পশু পাখিদের জীবনে । তাছাড়াকিভাবে জানবে যে তাকে মারার জন্য একজন লাঠিহাতে বসে আছে ? নাকি চোরের মন পুলিশ পুলিশ, এই ভয়ে...... এরকম অনেক কিছুই চিন্তা করে সুজন । আসলে বিড়াল বেটা উদরপুরে খেয়েছে তো, সারাদিন কোথাও গিয়ে একটু রেষ্ট এ ছিল । তাই লোকসম্মুক্ষে আসেনি । সকালবেলা মাটির ঘরের বারান্দায় বসে ভাত খাচ্ছে সুজন । এমন সময় সেই চিরচেনা পুরাতন সুর ! ম্যাঁও ম্যাঁও । মাথায় যেন বাঁজ পড়ে সুজনের । পিছনেতাকিয়ে সেই অপরাধী ধূসর বর্ণের বিড়ালটিকে দেখতে পায় । তুই আজ আবার এসেছিস ? তোর জন্য গতকাল আমার সারাটা দিন মাটি হয়েছে। তোকে আজ আমি শেষ করে ফেলবো ! বলেই হাতের কাছের পিড়িটা বিড়াল বরাবর ছুড়ে মারলো সুজন । অমনি বেচারী এক হাত উপর দিকে লাফ দিয়ে মাটিতে পড়ে গেল । আর ছটফট করতে লাগলো যেমন মুরগী জবাই করেছেড়ে দেয়ার পর ছটফট করে । সবার নজর কাড়লোঐ বিড়ালটির দিকে । মা, রাগান্বিত হয়ে বললো একি করলি তুই ! অবলা জীবটাকে এইভাবে মেরে ফেললি ? মা তাড়াতাড়ি পানি এনে পরম আদরে বিড়ালটির মাথায় ঢালছে অনবরত । অনেক চেষ্টার পর অবশেষে দুনিয়ার মায়া ছেড়ে বিড়ালটি একটু নড়ে উঠে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো । মা অনেক বকাঝকাকরলো সুজনকে । আসলে মায়ের মন এমনিই দরদমাখা হয় । সুজনও হতবাক হয় । এটা কি করলাম ! কেন মারলাম বিড়ালটিকে ? ওর তো কোন দোষ ছিলনা । ও যা করেছে তাতো পেটের ক্ষুধায় করেছে , আর তাছাড়া যদি নিজেরা যদি একটু সাবধান হতাম তাহলেই তোএমন ঘটনা ঘটতো না । নিজের উপর প্রচন্ড রাগ হয়সুজন । জীব হত্যা নাকি মহাপাঁপ, আবার কবির ভাষায় জীবে প্রেম করেযেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর ইত্যাদি ভাবতে ভাবতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সুজন। প্রভুর কাছে দু হাত তুলে প্রার্থনা করে কৃতকর্মের জন্য । সুজনের নিরব নিভৃতে কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়েওঠে । এই কর্মচঞ্চল মানুষটি নিমিষেই চুপসে যায় , সারাদিন কিছু খেতে পায়নি, শুধু বুক ফেটে চিত্‍কার করে বলছে এ আমি কি করলাম, কি করলাম. . . . . . . .

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন